হজ্জের ফরজ ৩টি
১। ইহরাম বাধা ২। উ’কুফে আ’রাফা (আরাফাতের ময়দানে
অবস্থান) ৩। তাওয়াফুয্ যিয়ারাত
হজ্জের ওয়াজিব ৬টি
(১) ‘সাফা ও মারওয়া’ পাহাড় দ্বয়ের মাঝে ৭ বার সায়ী করা।
(২) অকুফে
মুযদালিফায় (৯ই জিলহজ্জ) অর্থাৎ সুবহে সাদিক থেকে সুর্যদয় পর্যন্ত একমুহুর্তের
জন্য
হলেও অবস্থান করা।
(৩) মিনায় তিন
শয়তান (জামারাত) সমূহকে পাথর নিপে করা।
(৪) ‘হজ্জে তামাত্তু’ ও ‘কি্বরান’ কারীগণ ‘হজ্জ’ সমাপনের জন্য দমে শোকর করা।
(৫) এহরাম খোলার
পূর্বে মাথার চুল মুন্ডানো বা ছাটা।
(৬) মক্কার বাইরের
লোকদের জন্য তাওয়াফে বিদা অর্থাৎ মক্কা থেকে বিদায়কালীন তাওয়াফ করা।
এছাড়া আর যে সমস্ত আমল রয়েছে সব সুন্নাত অথবা মুস্তাহাব।
ওমরাহর ফরজ, ওয়াজিব
দুইটি ফরজ: (১) ইহরাম পরিধান করা (২) তাওয়াফ
দুইটি ওয়াজিব: (১) সাফা ও মারওয়া মধ্যবর্তী (সবুজ বাতি) স্থানে সাতবার সায়ী
করা (২) মাথার চুল
মুন্ডানো বা ছাটা।
তালবিয়া
”লাব্বাঈক
আল্লাহুম্মা লাব্বাঈক, লাব্বাঈক, লা-শারীকা-লাকা লাব্বাঈক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্ নি’মাতা লাকা ওয়াল-মুল্ক, লা শারীকালাক।”
অর্থ: আমি হাজির হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত! আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির।
আপনার কোন অংশীদার নেই। নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা ও সম্পদরাজি আপনার এবং একচ্ছত্র
আধিপত্য আপনার।
আপনার কোন অংশীদার নেই।
ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজ
(১) সেলাইযুক্ত যে
কোন কাপড় বা জুতা ব্যবহার, এক্ষেত্রে স্পঞ্জ
সেন্ডেলের ব্যবহার করা।
(২) মস্তক ও
মুখমন্ডল (ইহরামের কাপড়সহ যে কোন কাপড় দ্বারা) ঢাকা,
(৩) পায়ের পিঠ ঢেকে
যায় এমন জুতা পরা।
(৪) চুলকাটা বা
ছিড়ে ফেলা,
(৫) নখকাটা,
(৬) ঘ্রানযুক্ত তৈল
বা আতর লাগানো।
(৭) স্ত্রীর সঙ্গে
সংগম করা।
(৮) যৌন
উত্তেজনামূলক কোন আচরণ বা কোন কথা বলা।
(৯) শিকার করা।
(১০) ঝগড়া বিবাদ বা
যুদ্ধ করা।
(১১) চুল দাড়িতে
চিরুনী বা আঙ্গুলী চালনা করা, যাতে ছিড়ার আশংকা
থাকে।
(১২) শরীরে সাবান
লাগানো।
(১৩) উকুন, ছারপোকা,
মশা
ও মাছিসহ কোন জীবজন্তু হত্যা করা বা মারা।
(১৪) কোন গুনাহের
কাজ করা, ইত্যাদি।
No comments:
Post a Comment