Monday, June 22, 2015

এইচটিএমএল টিউটোরিয়াল


এইচটিএমএল (HTML) এর অর্থ হচ্ছে Hyper Text Markup Language. এটা কোন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ নয়, মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ।

ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে এই ল্যাংগুয়েজ টি সবার আগে ভালভাবে শিখতে হবে।তবে এটা শেখা খুব সহজ।

এটা শিখলেই আপনি একটা ওয়েব পেজ তৈরী করতে পারবেন। এরপর যদি সিএসএস শেখেন তাহলে ঐ পেজটিতে আরেকটু প্রান দিতে পারবেন

তারপর জাভাস্ক্রিপ্টের পালা, জাভাস্ক্রিপ্ট শিখে এর এপ্লিকেশন করলে আপনার ঐ ওয়েব পেজটি ডাইনামিক হওয়া শূরু হল। সবশেষে পিএইচপি + ডেটাবেস শিখলে আপনি পূর্নাঙ্গ ডেটাবেস Driven ওয়েবসাইট  তৈরী করতে পারবেন।

যে জিনিস লাগবে এইচটিএমএল শিখতে (অর্থ্যাৎ এইচটিএমএল কোড কোথায় লিখবেন)

নোটপ্যাড। Notepad open করে তৈরী হোন। যেহেতু নতুন তাই নোটপ্যাড দিয়েই শুরু করুন পরে অন্য কোন এডভান্সড এডিটরে সুইচ করবেন যেমন Netbeans বা Dreamweaver. আর যদি ড্রিমওয়েভার এ কাজের অভিজ্ঞতা থাকে

Friday, June 19, 2015

রোজা ও ইফতারের নিয়ত, ভাঙার কারণ

রোজা ফারসি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে দিন। যেহেতু এই আমলটি দিনের শুরু থেকে শেষাংশ পর্যন্ত পালন করা হয় তাই একে রোজা বলা হয়। আর আরবিতে এর নাম সাওম বা সিয়াম। যার শাব্দিক অর্থ কোনো কাজ থেকে বিরত থাকা। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোজা। ইসলামী বিধান অনুসারে, প্রতিটি সবল মুসলমানের জন্য রমজান মাসের প্রতিদিন রোজা রাখা ফরজ বা অবশ্য পালনীয়।

রোজার নিয়ত نويت ان اصوم غدا من شهر رمضان المبارك فرضا لك ياالله فتقبل منى انك انت السميع العليم
(নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।)
অর্থ: হে আল্লাহ! আগামীকাল পবিত্র রমযান মাসে তোমার পক্ষ হতে ফরয করা রোজা রাখার নিয়ত করলাম, অতএব তুমি আমার পক্ষ হতে কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

নামাজি ব্যক্তিদের জন্য পরকালে কি সুসংবাদ অপেক্ষা করছে?

১। ছালাত সর্বোত্তম আমল: রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে প্রশ্ন করা হল কোন আমলটি সর্বোত্তম? তিনি বললেন, সময়মত ছালাত আদায় করা। (মুসলিম)
২। ছালাত বান্দা এবং প্রভুর মাঝে সম্পর্কের মাধ্যম: রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের কেউ যখন ছালাত আদায় করে, তখন সে তার পালনকর্তার সাথে গোপনে কথা বলে। (বুখারী)
৩। ছালাত দ্বীনের মূল খুঁটি: রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সবকিছুর মূল হচ্ছে ইসলাম। তার (ইসলামের) মূল স্তম্ভ হচ্ছে ছালাত এবং তার (ইসলামের) সর্বোচ্চ চুড়া হচ্ছে জিহাদ। (তিরমিযী)
৪। ছালাত হচ্ছে আলোকবর্তিকা: রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ছালাত হচ্ছে (কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য) নূর বা আলোকবর্তিকা। (মুসলিম, তিরমিযী)

কিয়ামতের দিন যাদের জন্য সুপারিশ করবেন নবীজী (সা.)

হযরত আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, আমি এক দাওয়াতে নবী করীম (সা.)-এর সাথে ছিলাম। তিনি এরশাদ করেন, আমি কিয়ামতের দিন সকলের সর্দার হব। সে কঠিন দিনে কষ্ট সাইতে না পেরে মানুষ অস্থির হয়ে যাবে এবং কার দ্বারা সুপারিশ করলে আল্লাহ্ কবুল করবেন সে রূপ লোক তালাশ করতে থাকবে।
অতপর অন্যান্য নবীগণের নিকট হতে ব্যর্থ হয়ে সর্বশেষে সমস্ত লোক হুজুর (সা.)-এর কাছে এসে বলবে আপনি সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী, আমাদের কষ্ট তো আপনি দেখেছেন, এখন দরবারে এলাহীতে আমাদেও জন্য সুপারিশ করুন যাতে আমাদেরকে পরিত্রাণ দেয়া হয়।
 নবীজী (সা.) বলেন, আমি তখন আল্লাহ্র আরশের নিচে এসে সিজদায় পড়ে কান্নাকাটি করতে থাকব। অতপর আল্লাহ্ও তরফ থেকে বলা হবে, আপনি মাথা উঠান এবং ফরিয়াদ পেশ করুন। আপনার ফরিয়াদ কবুল করা হবে।
 হুজুর (সা.) তখন মাথা উঠাবেন এবং বলবেন, হে প্রভু! তুমি আমার উম্মতগণকে ক্ষমা কর। আল্লাহ্ তায়ালা বলবেন, হে আমার প্রিয় নবী! আমার বেগোনাহ বান্দাদেরকে বেহেশতের ডান দিকের দরজা দিয়ে প্রবেশ করান। এতদ্ব্যতীত অন্য দরজা দিয়েও ইচ্ছে করলে ঢুকাতে পারেন।

Friday, June 12, 2015

পি এইচ পি তে ফাংশন শিখুন সহজ ভাবে ।


ফাংশন কি ?
ফাংশন হচ্ছে কিছু স্টেটমেন্ট এর সমষ্টি যেখানে আপনি অনেক গুলো কাজ করার নির্দেশ দিতে পারবেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী শুধুমাত্র সেই ফাংশন  টাকে কল করে পুরো কাজ টা করে নিতে পারবেন যতবার ইচ্ছা।বিভিন্ন প্রোগ্রামের বিল্টইন ফাংশন সমূহ একজন প্রোগ্রামার শুধুমাত্র সরাসরি কল করেই ব্যবহার করতে পারেন, এতে করে প্রোগ্রামিং অনেক সহজ হয়ে এসেছে। আমরা খুব সহজেই অল্প সময়ের মধ্যেই এই সকল বিল্ট ইন ফাংশন সমূহের কার্যকারীতা এবং ব্যবহার পদ্ধতি জেনে দক্ষ প্রোগ্রামার হয়ে উঠতে পারছি। এছাড়া একজন দক্ষ প্রোগ্রামার এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায় প্রোগ্রামের মধ্যে প্রয়োজনীয় ইউজার ডিফাইন্ড ফাংশন তৈরি এবং তার সঠিক প্রয়োগের উপর। ধরুন আপনাকে সপ্তাহে প্রতিদিন কোননা কোন ১০ টি কাজ করতে হবে কিন্তু প্রতিদিন  কেলেন্ডার এর পাতাই ১০ টি করে কাজের নাম লিখলে ভাল লাগবেনা।তখন আপনি কাজ গুলোর নাম অন্য জাইগাই লিখলেন এবং তার একটা নাম দিলেন।ধরুন আপনি কাজনামে একটা ফাংশন করলেন এই কাজের ভিতর ১০ টা কাজ রাখলেন এখন পড়া নামে আরেকটা ফাংশন করলেন যার ভিতর কখন কখন পড়বেন তা লিখলেন। এখন এত গুলা কাজ তো কেলেন্ডারের ছোট্ট ঘরে লিখা যাবেনা  তাইনা ? এখন আপনি যেদিন যেদিন এই রুটিন মানতে চান ওই দিন কেলেন্ডারের ঘরে কাজ এবং পড়া লিখলেই বুঝবেন আজকের রুটিন কি। কত্ত সহজ !!!

ফাংশন লিখার নিয়ম ১ :

Wednesday, June 10, 2015

রমজান মাসের আগে মুসলিমদের জন্য যা যা করণীয়

দুয়ারে কড়া নাড়ছে রমজান মাস। পবিত্র রমজান ইবাদতের মাস। পুণ্য অর্জনের মাস। রহমতের মাস। মাগফেরাতের মাস। জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস। মহান আল্লাহ এ মাসে রহমতের বারিধারা বর্ষণ করেন। বান্দাদের ক্ষমা করার জন্য সব আয়োজন করে রাখেন।
এ মাসে প্রতি রাতে একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করতে থাকেন- ‘হে সৎ পথের দিশারি! অগ্রসর হও। হে অকল্যাণের পথিক! সতর্ক হও।’অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- রমজানের রোজা আল্লাহর কাছে এই বলে সুপারিশ করবে- ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার বান্দাকে দিনের বেলা ভোগ-সম্ভোগ থেকে বিরত রেখেছি। তাই আজ আমি তার জন্য সুপারিশ করছি।’
আর কোরআনুল কারিম বলবে-‘আমি তোমার বান্দাকে রাতের বেলা সুখনিদ্রা থেকে বিরত রেখেছি। আমার কল্যাণে সে রাতে ঘুমাতে পারেনি। তাই আজ আমি তার জন্য সুপারিশ করছি।’ অতঃপর আল্লাহ তায়ালার দরবারে উভয় সুপারিশ গ্রহণযোগ্য হবে।
এ মাসে একটি ফরজ আমলের মূল্য অন্য সময় সত্তরটি ফরজ আমলের সমপরিমাণ।

আবদুল কাদির জিলানী (রা:) এর শয়তানের সাথে কথোপকথন

একবার এক মরুপ্রান্তরে হযরত বড়পীর (রহ.) ভ্রমণ করছিলেন। ইবাদত-বন্দেগী ও ধ্যানসাধনার এক বিশেষ ক্ষণে অদৃশ্য থেকে আওয়াজ এলো! হে আবদুল কাদের আমি তোমার প্রতি সন্তুষ্ট। সাধনার মাধ্যমে তুমি আজ এমন এক পর্যায়ে উপনীত হয়েছ যে, আমি আল্লাহ তোমার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে গিয়েছি। অতএব, এখন থেকে শরীয়তের কোন বিধান তোমার উপর বাধ্যতামূলক নেই। তুমি ইবাদত কর বা না কর, এতে কিছু আসবে যাবে না। যে কোন ধরনের কাজে তুমি এখন থেকে স্বাধীন।
এ ধরনের কথা শুনে হযরত
জিলানী (রহ.) খুব দৃঢ়তার সাথে ‘লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ পড়লেন। অদৃশ্য আওয়াজটি বন্ধ হয়ে গেল। তিনি বলতে লাগলেন

হজে যাওয়ার আগে জেনে নিন

হজে যাওয়ার আগে:
পাসপোর্ট, বিমানের টিকিট সংগ্রহ ও তারিখ নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করতে ভুলবেন না। নিয়ম মেনে টিকা নিন। হজের নিয়ম জানার জন্য একাধিক বই পড়তে পারেন।  যাঁরা পড়তে পারেন না, তাঁরা অন্য হাজিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে পারেন। হজের কোনো বিষয়ে বিভিন্নতা দেখলে ঝগড়া করবেন না। আপনি যে আলেমের ইলম ও তাকওয়ার ওপর আস্থা রাখেন, তার সমাধান অনুযায়ী আমল করবেন, তবে সে মতে আমল করার জন্য অন্য কাউকে বাধ্য করবেন না। প্রয়োজনে পরিচিত অথবা এলাকার দলনেতার (গ্রুপ লিডার) সঙ্গে আলাপ করতে পারেন।

মানসিক প্রস্তুতি জরুরি
হজ যাত্রার শুরুতে নিজেকে এমনভাবে তৈরি করে নিন, যেন দেহ-মনে কোনো কষ্ট না থাকে। ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে হজ হলো দৈহিক ও আর্থিক ইবাদত এবং শ্রমসাধ্য ব্যাপার। আপনার মালপত্র হালকা রাখুন, কারণ আপনার মাল আপনাকেই বহন করতে হবে। আপনার সঙ্গীদের সম্মান করুন, তাঁদের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকৃত ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনার দলে (গ্রুপে) দুর্বল বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতি খেয়াল রাখবেন। সৌদি আরবে গিয়ে বিভিন্ন ওয়াক্তের নামাজ কাবা শরিফে জামাতে আদায় করার চেষ্টা করবেন (অনেকে বাসায় অথবা মহল্লার মসজিদে নামাজ আদায় করেন)। যাত্রার শুরুতে

Tuesday, June 9, 2015

বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রা: কিছু দিকনির্দেশনা

বাংলাদেশ থেকে দুভাবে হজের সফর সম্পন্ন করতে পারেন। সরকারী ব্যবস্থাপনায় ও প্রাইভেট হজ-এজেন্সির মাধ্যমে। সরকারী ব্যবস্থাপনার আওতায় দুটি ক্যাটাগরি রয়েছে সবুজ ও নীল। এ দুটোর যে কোনো একটার আওতাভুক্ত হয়ে হজের সফর সম্পন্ন করতে পারেন। সবুজ ক্যাটাগরির হাজিদের জন্য মক্কা-মদিনায় প্রায় আধা কিলোমিটার এবং নীল ক্যাটাগরির হাজিদের জন্য এক কিলোমিটার বা তার থেকেও বেশি দূরত্বে বাসা বরাদ্দ করা হয়।

বাসা-হোটেল কাছে দূরে, উন্নত-অনুন্নত হওয়ার উপর ভিত্তি করেই সবুজ ও নীল ক্যাটাগরি নির্ণয় করা হয়; কেননা অন্যান্য খরচ উভয় ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে অভিন্ন। আপনি সরকারী ব্যবস্থাপনায় হজ-গমন বিষয়ে মনস্থির করলে ধর্ম-মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেয়া সময় ও নিয়ম অনুযায়ী টাকা জমা দিন। ধর্ম-মন্ত্রণালয় কর্তৃক সরবরাহকৃত ফরম পূরণ করে যে কোনো অনুমোদিত ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে প্রদত্ব রসিদ নিয়ে জেলা প্রশাসকের অফিসে রিপোর্ট করুন। টাকা জমা দেয়ার রসিদ ও অন্যান্য কাগজ পত্র রাখতে হবে যত্ন  সহকারে ও তা দেখিয়ে অফিস থেকে বলে দেওয়া সময়ে উপস্থিত হয়ে বিমানের টিকিট ও পিলগ্রিম পাস সংগ্রহ করতে হবে হজ ক্যাম্প থেকে। আপনার জমা দেয়া টাকা যে সব খাতে ব্যয় করা হয় তা হল নিুরূপ:

হজ্জের ফজিলত গুরুত্ব ও তাৎর্পয


হজ্জ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণএকটি বুনিয়াদি স্তম্ভ। হজ্জ শব্দের আভিধানিক অর্থ; সংকল্প করা বা ইচ্ছা করা।

আল্লাহর নির্দেশ মেনে ও তাঁর সন্তুষ্টির জন্য সৌদি আরবের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে সফর করা এবং ইসলামী শরীআহ অনুসারে নির্দিষ্ট কিছু কর্মকাণ্ড সম্পাদন করার নামই হজ্জ। হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম  ১০ম হিজরীতে একবার স্বপরিবারে হজ্জ পালন করেন। ৯ম বা ১০ম হিজরীতে হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম  এর মাধ্যমে হজ্জকে ফরয করা হয়। হজ্জ সম্পন্ন করতে জিলহজ্জের ৮ থেকে ১৩ তারিখে মাধ্যে আরবের মক্কা,মিনা, আরাফা ও মুযদালিফায় নির্দিষ্ট কিছু কর্মকাণ্ড সম্পাদন করতে হয়।

  হজ্জ সম্পাদনের অন্যতম একটি অংশ হলো ৯ জিলহজ্জ আরাফা ময়দানে অবস্থান করা। এ আরাফা ময়দান হাশরের ময়দানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় যেখানে সমগ্র মানবজাতি একত্রিত হবে সুবিস্তিৃত এক ময়দানে। হাদীসে হজ্জযাত্রীদের আল্লাহর  মেহমান হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কুরআন মাজীদে সূরা হাজ্জ (২২নং সূরা) নামে একটি সূরা রয়েছে, যেখানে হজ্জের গুরুত্ব ও তাৎপর্য আলোচিত হয়েছে।নারীদের জন্য হজ্জ হলো জিহাদের সমতুল্য। আর এটি জান্নাত লাভের একটি অবলম্বন স্বরুপ।

Sunday, June 7, 2015

হজ্জের প্রকার ও নিয়তসমূহ




হজ্জের প্রকার ও নিয়তসমূহ

প্রথম প্রকার হজ্জে ইফরাদ
বর্ণনা: ওমরাহ্ ব্যতিত শুধু হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধা এবং হজ্জের সাথে ওমরাহকে না মিলানো। (বদলী হজ্জের জন্যও এই হজ্জ)।
নিয়্যাত: আল্লাহুমা ইন্নী উরীদুল হাজ্জা ফায়াসছির হুলিওয়াতা কাব্বালহুমিনি্ন। (বাংলা নিয়ত- আল্লাহ আমি ইফরাদ হজ্জের উদ্দেশ্যে আপনার সন্তুষ্টির জন্য ইহরাম বাধলাম। তা সহজ করে দিন ও কবুল করে নিন)।

দ্বিতীয় প্রকার হজ্জে কি্বরান
বর্ণনা: একত্রে একই স্থান থেকে হজ্জ ও ওমরার নিয়্যাত করে হজ্জের সাথে ওমরাহকে মিলানো এবং একই ইহ্রামে উভয়টি আদায় করা।
নিয়্যাত: আল্লাহুমা ইন্নী উরীদুল উমরাতা ফায়াচ্ছির লী-ওয়াতাক্াব্বাল মিন্নী। বাংলা নিয়ত- হে আল্লাহ আমি আপনার উদ্দেশ্যে হজ্জে কি্বরানের জন্য ইহরাম বাধলাম তা সহজ করে দিন ও কবুল করে নিন।

তৃতীয় প্রকার হজ্জে তামাত্তু
বর্ণনা: একই সফরে পৃথক পৃথক ভাবে ইহরাম পরিধান করে হজ্জ ও ওমরাহ আদায় করা। প্রথম ইহ্রামে ওমরাহর নিয়্যাত করে তা পালন শেষে চুল কেটে ইহরাম খুলে হালাল হয়ে দ্বিতীয় বার নতুন করে হজ্জের নিয়্যাতে ৮ই জিলহজ্জ মক্ক শরীফ থেকে হজ্জের জন্য ইহরাম বাধা। তামাত্তু করার ইচ্ছা থাকলে প্রথমে ওমরার নিয়্যাত করে এহরাম বাঁধুন।

শুধু ওমরাহর নিয়্যাত
আল্লাহুমা ইন্নী উরীদুল উমরাতা ফায়াচ্ছির লী-ওয়াতাক্াব্বাল মিন্নী। বাংলা নিয়ত- হে আল্লাহ আমি ওমরাহ্ পালনের জন্য ইহরাম বাধলাম তা সহজ করে দিন এবং কবুল করে নিন।

শুধু হজ্জের নিয়্যাত
আল্লাহুম্মা ইন্নী উরীদুল হাজ্জা ফায়াচ্ছিরহু-লী অ-তাকাব্বালহু মিন্নী। বাংলা নিয়ত- হে আল্লাহ আমি পবিত্র হজ্জ পালনের জন্য ইহরাম বেধে নিয়ত করলাম তা সহজ করে দিন এবং কবুল করে নিন।

হজ্জের নিয়মকানুন


হজ্জের ফরজ ৩টি

১। ইহরাম বাধা ২। উকুফে আরাফা (আরাফাতের ময়দানে অবস্থান) ৩। তাওয়াফুয্ যিয়ারাত

হজ্জের ওয়াজিব ৬টি

(১) সাফা ও মারওয়া পাহাড় দ্বয়ের মাঝে ৭ বার সায়ী করা।
(২) অকুফে মুযদালিফায় (৯ই জিলহজ্জ) অর্থাৎ সুবহে সাদিক থেকে সুর্যদয় পর্যন্ত একমুহুর্তের জন্য
হলেও অবস্থান করা।
(৩) মিনায় তিন শয়তান (জামারাত) সমূহকে পাথর নিপে করা।
(৪) হজ্জে তামাত্তু কি্বরান কারীগণ হজ্জ সমাপনের জন্য দমে শোকর করা।
(৫) এহরাম খোলার পূর্বে মাথার চুল মুন্ডানো বা ছাটা।
(৬) মক্কার বাইরের লোকদের জন্য তাওয়াফে বিদা অর্থাৎ মক্কা থেকে বিদায়কালীন তাওয়াফ করা।

এছাড়া আর যে সমস্ত আমল রয়েছে সব সুন্নাত অথবা মুস্তাহাব।

ইকরা তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসা

"মাসজিদ-মাদ্রাসা কমিউনিটি " এর লক্ষ উদ্দেশ্য ।

পবিত্র কুরআন ও হাদিসের বানী প্রচার এবং মসজিদ,মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছবি, হালচাল,সুখদুঃখ এবং এগুলোর সুবিধা-অশুবিধার কথা ধর্মপ্রাণ মুসলিম ভাই বোনদের কাছে পৌঁছানো " মাসজিদ-মাদ্রাসা কমিউনিটি " এর লক্ষ উদ্দেশ্য ।

হজরত আবু জর গিফারি (রা) থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) আমাকে বলেছেন, তুমি যেখানেই থাক আল্লাহকে ভয় কর, আর মন্দ কাজ করলে তার পরপরই সৎ কাজ কর। তাহলে ভালো কাজ মন্দ কাজকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। আর মানুষের সাথে সদ্ব্যবহার কর।
(তিরমিজি ১৯১০)


পেজ টি সবার সাথে শেয়ার করুন,আপনার মাধ্যমে কেউ জানতে পারলে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে গন্য হবে, এবং কেয়ামত পর্যন্ত এর সওয়াব পাবেন। ইনশাল্লাহ।

কুরআনের অবিশ্বাস্য গানিতিক বিস্ময়

আপনি জেনে খুব বিস্মিত হবেন পবিত্র কুরআনের আয়াত গুলোর মধ্যে ১৯ সংখ্যাটির কারুকার্য অত্যন্ত নিখুঁতভাবে গেঁথে দেওয়া হয়েছে । কুরআন যদি কোন রক্ত মাংসের মানুষ দ্বারাই রচিত হত তবে এতে এমন নিখুঁত গানিতিক হিসাব থাকত না । মানুষের চিন্তাশক্তির একটা সীমা আছে, কিন্তু কুরআনের এই নিখুঁত হিসাব সেই সীমাকে অতিক্রম করে অসিমে চলে যায় আর প্রমান করে এক মহাশক্তির অস্তিত্বের সত্যতা । সেই মহাশক্তিই হল মহান আল্লাহ সুবহানওয়াতায়ালা । পুরোটা পড়ার পর আপনার মাথা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধায় নত হয়ে আসবে ।

শাবান মাসের ইবাদত-বন্দেগী


পবিত্র রমজান মাস যেহেতু বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ মাস, এ জন্য আগে থেকেই এ মাসের ইবাদত-বন্দেগির জন্য প্রস্তুতি নেয়াটাই একজন মুমিনের কর্তব্য। রাসুল (সা.) রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। শাবান মাসে পুরোদমে রমজানকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিতেন।
হাদিস দ্বারা জানা যায়, রাসুল (সা.) রমজানে অধিক ইবাদতের জন্য সময়-সুযোগ বের করতেন। মানসিকভাবে তৈরি হতেন।
নবী করিম (সা.) শাবান মাসে বেশি নফল রোজা রাখতেন এবং সাহাবিদের রোজা পালন করতে বলতেন। হজরত উসামা বিন যায়েদ (রা.) বলেন, ‘একদা
নবী করিম (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আমি তো আপনাকে শাবান মাসের মতো অন্য কোনো মাসে এত অধিক রোজা রাখতে দেখি না।’...উত্তরে তিনি বললেন, ‘শাবান মাসটি রজব ও রমজানের মধ্যবর্তী মাস। অনেক মানুষ এ মাসের ফজিলত সম্পর্কে উদাসীন থাকে। অথচ বান্দার আমলসমূহ এ মাসে আল্লাহর সমীপে পেশ করা হয়। এ জন্য আমি চাই যে আমার আমলসমূহ আল্লাহর দরবারে এমতাবস্থায় পেশ করা হোক যে আমি রোজাদার।’ (বায়হাকি)